কক্সবাজার প্রতিনিধি :::
কিটকটে (ছাতা চেয়ার) বসে সমুদ্র দর্শন কার না পছন্দ। কিন্তু বসতে গিয়ে কোন পর্যটক যদি কিটকট কর্মীর হাতে হয়রানির শিকার হয় তাহলে পুরো ভ্রমনের আনন্দ টায় মাটি। এই অভিযোগ হর হামেশা শোনা যায়। কিন্তু এখন থেকে আর নয়। এই হয়রানি রোধে কিটকট কর্মীদের নির্ধারিত পোশাকের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি।
শনিবার বিকালে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে কিটকটে নিয়োজিত কর্মীদের আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত গেঞ্জি ও টুপি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। কিটকটে কর্মরত ১০০ জন কর্মীকে গেঞ্জি ও টুপি দেওয়া হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সী-বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সদস্য অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি আবদুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ন সম্পাদক হারুন অর রশিদ, কিটকট ব্যবসায়ী নেতা মাহবুবুর রহমান, অ্যাড ফ্রেমের প্রতিনিধি আবছার উদ্দিন, জাহেদুল আনোয়ার। পোশাক বিতরণে সার্বিক সহযোগিতা করেন অ্যাড ফ্রেম নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজার ভ্রমণে এসে একজন পর্যটকের জন্য সর্বোচ্চ বিনোদনের জায়গা কিটকটে বসে সমুদ্র দর্শন করা। কিন্তু কিটকট কর্মীদের হাতে অনেক পর্যটক হয়রানির অভিযোগ আছে। নির্দিষ্ট পোশাক না থাকার কারণে এই অভিযোগ গুলো সমাধান করা কঠিন হয়ে যেতো। কিন্তু এখন থেকে নির্দিষ্ট পোশাক ছাড়া যে কেউ কিটকট কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারবে না। একারণে অতীতের সেই হয়রানি এখন থেকে আর হবে না’।
তিনি আরো বলেন, ‘কিটকট কর্মীর নির্ধারিত পোশাকে জরুরি সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের নাম্বার দেওয়া আছে। কোন পর্যটক বিপদে পড়লে দ্রুত এখান থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে সহযোগিতা নিতে পারবে। এছাড়া এসব কিটকট কর্মীদের ডেটা বেইসের আওতায় নিয়ে আসারও কাজ চলছে’।
পাঠকের মতামত: